তারেক রহমান কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, জনগণের বুকে গুলি চালাবেন না

লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ভোটের দিন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোর জন্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান

লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান ভোটের দিন জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোর জন্যে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। জনগণকে তাদের পরিবারের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, “আপনারা গণতন্ত্রের বিপক্ষে দাঁড়াবেন না। প্রজাতন্ত্রের আইনকে উপেক্ষা করবেন না। জনগণের বুকে গুলি চালাবেন না।”

বিএনপির ফেসবুক পাতায় পোস্ট করা এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচারের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বিরোধী দল বিএনপি মি. রহমানের বক্তব্য প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রচারের চেষ্টা করে থাকে।

তারেক রহমান আরো বলেছেন, তার দল যদি সরকার গঠন করে তাহলে অন্যায়ভাবে বা রাজনৈতিক কারণে কোন সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীর চাকরি যাবে না।

ভোটের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রশাসনের যাদেরকে অপকর্ম করতে বাধ্য করা হয়েছে বা এখনও বাধ্য করা হচ্ছে তাদের সামনে এখন একটি সুযোগ এসেছে।”

সোশাল মিডিয়াতে অপ্রচারের বিরুদ্ধে তিনি তার দলের নেতাকর্মী, সমর্থক ও প্রশাসনকে সতর্ক করে দিয়েছেন। বলেছেন, মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক খবর দিয়ে প্রশাসনকেও বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালানো হবে। এবিষয়ে যাতে সকলে সতর্ক থাকেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ক্ষমতাসীন সরকার দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চালু করেছে। কিন্তু তিনি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তার দল ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সরকার গঠন করলে দেশ থেকে এই ভয় দূর করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে।

“যাতে মানুষ কথা বলতে পারে, দেশের যেকোনো জায়গায় বুক ফুলিয়ে চলাফেরা করতে পারে।”

এজন্যে ভোটের দিন ভয়ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি দলে দলে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার আহবান জানান।

ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোট ডাকাতি রোধ এবং প্রত্যেকটি ব্যালট বক্সকে নিরাপদ রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্যক্তি স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের জন্যে এটা একটা সুযোগ। এবং অধিকার।”

তারেক রহমান বিএনপির নেত্রী এবং তার মা খালেদা জিয়াকে সকলের মা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি বলেই তিনি এই বয়সেও কারাগারে রয়েছেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা বলেছেন তিনি।

“মায়ের মুক্তির জন্যে আপনারা কি পারবেন না সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে? ৩০শে ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজেদের ঐক্যকে হিমালয়ের মতো সুদৃঢ় রাখতে?”

নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাকে আন্দোলনের কৌশল হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, মনোনয়ন প্রত্যাশী চার হাজার নেতার সাথে তিনি কথা বলেছেন। কিন্তু এবার সবাইকে মনোনয়ন দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে একজোট হয়ে এবার বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে।

সেকারণে তিনি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তকে সকল কিছুর বিনিময়ে বাস্তবায়ন করার জন্যে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।

“আমরা যদি একে অপরের সমালোচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকি তাহলে বর্তমান স্বৈরাচার সরকার আগামী দিনে যখনই সুযোগ পাবে আমাদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে,” বলেন তিনি।

আরো পড়ুন:
ভারতের ছত্রছায়ায় বাংলাদেশে বিএনপি দমনের নির্বাচনী যাঁতাকল


আপনার মতামত প্রকাশ করুন

আপনার ই-মেইল গোপন থাকবে। চিহ্নিত স্থান পূরণ করা আবশ্যক